অবশেষে জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন চিত্রনায়িকা তানিন সুবহা। দীর্ঘ আট দিন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকার পর মারা গেলেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন অভিনেত্রী।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনিবাহী পরিষদের সদস্য সনি রহমান বলেন, ‘আজ রাত ৭টা ৫৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী তানিন সুবহা।’

২ জুন থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তানিন সুবহা। আগেই তাঁকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য সুবহার স্বামীর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন চিকিৎসকেরা। স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে মঙ্গলবার রাতে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয় বলে জানিয়েছে অভিনেত্রীর পরিবার।

তানিন সুবাহর মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি মাদারিপুর নেওয়া হবে। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তার ভাই।

এর আগে গত ২ জুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তানিন সুবহা। এরপর আফতাবনগর বাসার কাছের একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। কিন্তু সন্ধ্যায় আবার অসুস্থ বোধ করেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে বনশ্রীর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এরপর মধ্যরাতে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

তানিন সুবহার জন্ম মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার মোল্লারহাটে। তবে তাঁর শৈশব কাটে বরিশালে নানাবাড়িতে। বাবার চাকরিসূত্রে পরিবারের সঙ্গে সৌদি আরবও থেকেছেন কয়েক বছর।

২০১২ সালে ‘ক্লোজআপ ওয়ান’ ও ‘ম্যাঙ্গোলি নাচো বাংলাদেশ নাচো’ প্রতিযোগিতায় নাম লেখান। বেশি দূর যেতে না পারলেও শোবিজে কাজ করার আগ্রহ জন্মায়। এরপর বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়ে শোবিজে নাম লেখান তিনি। অভিনয় করেন নাটক-সিনেমায়। ‘মাটির পরী’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় তাঁর অভিষেক হয়, এরপর নাম লেখান বেশ কিছু সিনেমায়।